জামালপুরের মাদারগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের নৈশপ্রহরীর নাম জাহাঙ্গীর আলম। ১৭০০ টাকা বেতনে মাস্টার রোলে চাকরি করেন। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে সে এখন কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদারগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে প্রায় কোটি টাকার জমির উপর লাখ লাখ টাকা খরচ করে তৈরি করেছেন বিশাল এক বাড়ি। এছাড়া সরকারি খাসজমি দখল করে গরুর খামারসহ একাধিক পাকা বাড়ি করেছেন মাদারগঞ্জ সাবরেষ্ট্রি এই নৈশ্য প্রহরী জাহাঙ্গীর। কি নাই তার পুকুর খামার ফসলি জমি সব কিছুই হয়েছে তার মাদারগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বদৌলতে। আজ থেকে ১২ বছর আগে সাবরেজিস্ট্রি অফিসারের খাবার রান্না করতে করতে জাহাঙ্গীর মাস্টার রোলে চাকরি পায়। এরপরই পর থেকেই অফিসের সব ‘গোপন কাজের’ সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। জমি রেজিস্ট্রি, দলিল কমিশন, নকল উত্তোলনসহ কোন কিছুই তাকে ছাড়া করা যায় না। তাকে অনেকে মাদারগঞ্জের ‘দ্বিতীয় সাবরেজিস্ট্রার’বলে। অল্প বেতনে চাকরি করে এত সম্পদের মালিক কি করে হলো নৈশ্য প্রহরী জাহাঙ্গীর? বাংলার কাগজের অনুসন্ধানীকে সেখান কার বেশ কয়েকজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, এ অফিসে জাহাঙ্গীরের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। তাই জাহাঙ্গীরের সিন্ডিকেটের কাছে না কি মাদারগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিস জিম্মি। এ বিষয়ে বাংলার কাগজের রিপোর্টার জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক : ইফতেখার আলম
অফিস: হাউজ নং: ৩৩, রোড- বি ব্লক,দক্ষিন গাজিরচট, আশুলিয়া , সাভার - ঢাকা।