আমরা মাথাব্যথায় মাঝে মাঝে আক্রান্ত হই দুটি কারণে। এর একটিকে বলে প্রাইমারি হেডেক। এর মধ্যে রয়েছে মাইগ্রেন, টেনশন টাইপ হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক ইত্যাদি। সেকেন্ডারি হেডেকগুলো হলো সাইনোসাইটিস, মাস্টয়ডাইটিস, গ্লুকোমা, স্ট্রোক, মাথার আঘাতজনিত, মস্তিষ্কের টিউমার ইত্যাদি।
চিকিৎসা ও প্রতিকার : মাথাব্যথার ধরন বা কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়। এজন্য রোগ নির্ণয় করা প্রয়োজন। মাইগ্রেন থেকে রেহাই পেতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং তা হতে হবে পরিমিত। অতিরিক্ত বা কম আলোয় কাজ না করা। কড়া রোদ বা তীব্র ঠাণ্ডা পরিহার করা, বেশি সময় ধরে কম্পিউটারের মনিটর ও টিভির সামনে না থাকা। সাইনোসাইটিসে মাথাব্যথা : ঘন ঘন সর্দি-কাশি হলে এ ধরনের মাথাব্যথা হয়। তখন গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। নাক পরিষ্কার রাখুন। ঘরোয়া চিকিৎসায় কাজ না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চোখের সমস্যায় মাথাব্যথা : এ সমস্যায় মাথাব্যথা চোখে, কপালের দুদিকে বা মাথার পেছনে হয়।
হরমোনজনিত মাথাব্যথা : মেয়েদের ঋতুচক্রের সময় হরমোন ওঠানামার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ খেলেও হতে পারে।
পানিশূন্যতার কারণে অনেক সময় মাথাব্যথা হতে পারে। তাই বেশি পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি তাজা ফলের রস ও পানিসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আর এড়িয়ে চলুন : চা, কফি, কোমলপানীয়, চকোলেট, আইসক্রিম, দই, ডেইরি প্রোডাক্ট।