এনামুল হক জুয়েল: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ডাক্তাররা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসকদের দুর্ব্যবহারে হন ভোগান্তির স্বিকার। অনেকে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অভিযোগ আছে। তাছাড়া এ হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশীর ভাগ সময় কোন প্রকার লিখিত আবেদন ছাড়াই ছুটিতে চলে যায়। এতে করে গ্রামের অস্বচ্ছল জনসাধারণ ভোগান্তির স্বিকার হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন অসহায় রোগী ভর্তি হলে তাদের ঔষধ কেনার টাকা না থাকলেও নার্সদের রুম থেকে টোকেন ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় সাপ্লাই নেই বাহির থেকে ঔষদ কিনে আনতে হবে ।খোজ নিয়ে দেখা গেছে হাসপাতালের সামনে একাধিক ক্লিনিকের প্রতিনিধিরা বসে থাকে।এমনকি ডাক্তারের রুমের সামনেও তাদের বসে থাকতে দেখা যায়। আর এই ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন ভূমিকা নেই। ঝিকরগাছা উপজেলা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের খারাপ আচরণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগিরা অতিষ্ঠ বলেও অভিযোগ আছে। রোগিদের সাথে সবচেয়ে খারাপ ব্যবহার করেন হাসপাতালের ০৯ নং রুমের ডা: কামরুজ্জামান ও ৫৩ নং রুমের ডা: মো: রফিকুজ্জামান রিন্টু। ঝিকরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ বেহাল অবস্থার দিকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এখানকার স্বাস্থ্য সেবা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন। এবিষয়ে
যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহমুদুল হাসানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বাংলার কাগজকে বলেন কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার অসৎ আচরণ বা অনিয়মের তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ছুটির বিষয়টি ইমারজেন্সি কারো ছুটি লাগলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারের নিকট থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছুটি নিতে পারেন বলে তিনি জানান।