এবার বিএনপি’র জাতীয় কাউন্সিল ছাড়াই অনেক নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে পাড়ে বলে জানানো হয়েছে। গত ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে খালেদা জিয়া দলটির চেয়ারপারসন এবং তারেক রহমান সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। এরপর ৩০ মার্চ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে মহাসচিব এবং রুহুল কবির রিজভীকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ঘোষণা করা হয়। ওই বছরের ৬ আগস্ট জাতীয় স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদ মিলিয়ে ৫৯২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে উপদেষ্টা ও নির্বাহী কমিটিতে আরও কিছু নেতাকে পদায়ন করা হয়। বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলন (কাউন্সিল) করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচন করার কথা। সেই হিসেবে বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মেয়াদ পাঁচ বছর আগেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তাই বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দলের হাইকমান্ড এরই মধ্যে নির্বাহী কমিটির শূন্য পদগুলো চিহ্নিত করেছে। নির্বাচনের পর কিছু কিছু পদ পূরণ করা হলেও এবার বাকি শূন্য পদগুলো শিগগির পূরণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে স্থায়ী কমিটি থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পর্যন্ত বিভিন্ন পদে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় বেশ কয়েকজন সাবেক ছাত্রনেতার ভাগ্য খুলতে পারে। আবার বিগত আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় থাকা নেতাদের কেউ কেউ পদ হারাতে পারেন। কারও কারও পদাবনতিও ঘটতে পারে।